বর্তমান সময়ের অধিকাংশ ছেলেমেয়ে সময়ের অপব্যবহার করে। বিনা কারনে সময়টাকে নষ্ট করে।
আমার ছোট ভাই বাদল। আমাদের পরিবারের সবাই ধার্মিক হলেও বাদলের এদিকে কোনো মন নেই। ও সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে, গেম খেলে, অনলাইনে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা ইত্যাদি। আমি বা মা বাবার কেউই তাকে ইসলামের পথে আনতে পারছিলাম না।
দিন দিন ও খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল।তারপর শুরু করে খারাপ ছেলেদের সাথে মেলামেশা। সারাদিন খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে ওদের সাথে ঘুরে বেড়াতো।
পড়াশোনা তো বাদই দিয়ে বসেছিল প্রায়।
তারপর আমার এলাকার এক মামার সাথে একদিন দেখা হয়৷ মামা আমাকে বললেন যে তিনি বাদলকে দেখেছে পাড়ার মেয়েদের উত্যক্ত করতে।
আমি বাড়িতে এসে মা বাবাকে কথাটা বললাম। তারপর বাবা খুব হতাশ হয়ে বলল,আমি মনে হয় ওকে মানুষ করতে পারলাম না।
বলেই তিনি চলে গেলেন।
মা তারপর খুব হতাশ হয়ে বলল বাদল যে বখাটে হয়ে যাচ্ছে দিন দিন তা আমি আগেই বুঝেছিলাম তাই বলে যে ও এত নিচে নেমে জাবে বুজতে পারিনি।
আজকে আসুক বাসায় ওর খবর আছে।
আমি তারপর আমার রুমে চলে গেলাম।বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম কেন বাদলের এই অবস্থা। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো কারন আছে।
তাছারা গত বছরই ও এসএসসি পাশ করে জিপিএ ৫ পেয়ে সেই ছেলে এত তাড়াতাড়ি কি করে নষ্ট হয়ে জাবে। বিষয় টা কেন জানি আমি মানতে পারলাম না।
তারপর সন্ধ্যায় আমি বাসার বাইরে গেলাম।
ভেবেছিলাম মাগরিবের নামাজ টা পড়ে একটু লাইব্রেরী তে জাব কিছু বই আনতে।
সেই উদ্দেশ্যে নামাজ শেষে রওনা হলাম।অনেকটা দুরের পথ বিধায় হেটে যেতে ইচ্ছে করছিল না তাই একটা রিকশা নিয়ে যাচ্ছি।
খানিকটা এগোতেই রাস্তায় একটা মেয়ে রিকশা থামাল আমি একটু বিব্রত হলাম।
মেয়েটা রিকশাওয়ালা মামাকে বলল মামা লাইব্রেরি যাবেন?
আমি বললাম হ্যা জাবে কিন্তু আপনি অন্য রিকশা দেখেন। তারপর রিকশা ওয়ালাকে যেতে বললাম। মেয়েটা আমাকে গালি দিতে লাগল তা শুনলাম কিন্তু কিছু মনে করলাম না। রিকশা চলছে লাইব্রেরীর দিকে,,,,,,,,
##